জবি শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গেটলক কর্মসূচি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো চলছে গেটলক ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। বন্যার্তদের পাশে শিক্ষার্থীদের ত্রাণ কর্যক্রম চলমান থাকায় উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি ব্যানার টানিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারের অধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের উপেক্ষা করে বিগত দিনের ন্যায় বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের যদি দুঃসাহস কেউ করে তাহলে তার মুখ্য জবাব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দিতে প্রস্তুত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই দিতে হবে। যদি এর বাইরে গিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে তাকে ক্যাম্পাসের গেট থেকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর হলেও এখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে এখনও উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং সেসব বিশ্ববিদ্যালয় তারা খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বিগত দিনে আমাদের এখানে যারাই উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের কথা চিন্তা না করে কীভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাট করা যায় সেদিকে নজর বেশি দিয়েছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কোনো অতিথি পাখিকে উপাচার্য হিসেবে কখনোই ছাত্র-শিক্ষকরা মেনে নেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলাল হোসাইন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি যেহেতু কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে, তাই এখানে সমস্যা ও সংকট প্রচুর। এসব সমস্যা সম্পর্কে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ওয়াকিবহাল। এগুলোর সমাধানে তারাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাই।
এমএল/এসএসএইচ