নতুন ৪ দফা দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ৮ দফা দাবিসহ বরিশালের প্রেক্ষাপটে আরও নতুন চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় শুভ।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে এসেছে। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে এসেছি। যদিও আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছেন।
সুজয় শুভ বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হয়ে আন্দোলনে আসিনি। আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সহিংসতাকে আমরা ঘৃণা করি । সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে আরও চারটি দাবি রয়েছে। আমাদের হল দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলায় হয়রানি করা যাবে না, শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না, ক্যাম্পাসে নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন স্থগিত করিনি। তবে এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় কোনো কর্মসূচি নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের করণীয় পরবর্তীতে ঘোষণা করবো।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হলেও শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হননি। পুনরায় বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এআর/এমএসএ/আরএআর