ঢাবিতে আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ মুখোমুখি, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দু’পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে মুখোমুখি অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হলপাড়ার দিকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। মুহূর্তেই ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিজয় একাত্তর হলে অবস্থান নেন। পরে তারা হলের তালা লাগিয়ে ভেতর থেকে ইট ছুড়তে থাকেন। শিক্ষার্থীরাও হলের দেয়ালের ওপর দিয়ে পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা হল গেটে হামলা চালিয়ে লোহার গেটে ধাক্কা দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে ছাত্রলীগের আরেকটি দলকে হেলমেট পরে বিজয় একাত্তর হলের গেটের কাছাকাছি অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বিজয় একাত্তর হল থেকে ছোড়া একটি ইট এসে তার বুকের বাম পাশে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাঠে লুটিয়ে পড়েন।
এর কিছু সময় পর হকিস্টিক, রড, স্টাম্প হাতে বঙ্গবন্ধু, জিয়া ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হন আন্দোলনকারীরা। তারপর আবার চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া।
এছাড়া সরকারি চাকরিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বক্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা- ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা , দেশটা কারো বাপের না’ অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, হামলা/মামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কেএইচ/এসএসএইচ