শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরলেও ফিরবেন না শিক্ষার্থীরা
প্রত্যয় স্কিম মেনে নিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরলেও শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিতে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দাবি আদায়ে রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে জানান নেতারা।
আরও পড়ুন
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ হয়ে তারা ক্লাসে ফিরলেও আমাদের ছাত্র ধর্মঘট চলমান থাকবে। আমরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না। আমরা চাই শিক্ষকরা আমাদের চলমান যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহযোগিতা করুক।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা আপনাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে। আপনারা আন্দোলন শুরু করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে থাকেনি। তাই আমাদের যৌক্তিক দাবির এই আন্দোলনে আপনারা কতটুকু পাশে থাকবেন সেটা দেখার সময় এসেছে। আমরা যেন এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না দেখি যে কিছু শিক্ষক ক্লাস-পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছে। আপনারা আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে প্রমান করুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, আজকের এই জনদুর্ভোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে সরকারের ওপর। তারা আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেই আমাদের রাজপথে থাকতে হয় না। তাই আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলে আমরাও আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।
এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে
কেএইচ/জেডএস