পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি
![পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024July/jagannath-university-20240701161158.jpg)
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার (১ জুলাই) জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
এসময় পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, পেনশন স্কিম বাতিলে আমাদের যে আন্দোলন, এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনও ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি।
ড. শেখ মাশরিক হাসান আরও বলেন, আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কোনও ক্ষতি হলে আমরা পরে রুটিন সমন্বয় করে সে ঘাটতি পুষিয়ে দেবো।
কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, এটা পেনশন না, নামে মাত্র পেনশন। এটি একটি ষড়যন্ত্র। যারা এটি ড্রাফটিং করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। এটি প্রভিডেন্ড ফান্ডের মতোই হচ্ছে। এসব পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা। এটি দ্রুত বাতিল করা হোক।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগম, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. মমিন উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এমএল/পিএইচ