ঢাবিতে অবৈধ ১৯ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা ১৯টি দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দোকানের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় দোকানের মালামাল ক্ষতি বা নষ্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলে জানানো হয়।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বিনতে মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়৷
এর আগে, ঢাবির অভ্যন্তরে অস্থায়ী-ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনা কমিটির গত ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন ১৯টি দোকান উচ্ছেদ করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই দোকানগুলোর স্বপক্ষে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকলে তা জরুরি ভিত্তিতে এস্টেট অফিসে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় ১৯টি অনুমোদনহীন দোকানের মধ্যে শিববাড়ী আবাসিক এলাকায় ৮টি দোকান, কার্জন হল এলাকায় ৩টি দোকান উত্তর নালায়েক ও আবাসিক এলাকায় ১টি দোকান, দক্ষিণ ফুলার রোড আবাসিক এলাকায় ১টি দোকান, মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবন এলাকায় বিজ্ঞান লাইব্রেরির পেছনে ৬টিসহ মোট ১৯টি দোকান অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আপনাদের দোকানের যাবতীয় মালামাল নিজ দায়িত্বে আগামী ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে আপনার দোকানের মালামাল ক্ষতি বা নষ্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিচালিত হচ্ছে। এস্টেট অফিস এ নিয়ে একটি কমিটি করেছিল। তারা ক্যাম্পাসের অবৈধ দোকান নিয়ে জরিপও করেছিল। চলতি মাসের শুরুতে একটি সভায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আমরা জানতে পেরেছি দোকানগুলো অবৈধ, তাই তাদের দোকান তুলে নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জরিপে ১৯টি অবৈধ দোকান শনাক্ত হয়। তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দোকান খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যদি কেউ তাদের বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে পারে তবে তাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।
কেএইচ/এসকেডি