আগামী সপ্তাহেও ঢাবিতে চলবে অনলাইন ক্লাস
সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাবে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সশরীরে ক্লাসের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগামী সপ্তাহের শুরুতেও অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সশরীরে ক্লাসের বিষয়ে আজ পর্যন্ত নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। শুক্রবার উপাচার্য দেশে ফিরলে তাকে বিষয়টি জানালে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বা আগেরটাই থাকতে পারে। তবে চলমান তাপপ্রবাহে পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। নতুন সিদ্ধান্ত হলেও বাড়িতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সময় প্রদান করবো যেন তারা বাড়ি থেকে ফিরতে পারে।
এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল বুধবার বিকেলে সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় সংস্থাটি। ফলে আগামী সপ্তাহের পুরোভাগে অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এর আগে গত রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে প্রচলিত ১০ শতাংশ অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাগুলো যথারীতি চলমান থাকবে। অর্থাৎ পরীক্ষাগুলো সশরীরেই চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে, কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা পরামর্শও দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরামর্শগুলো হলো-
সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল, যেমন খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
কেএইচ/পিএইচ