বুয়েটে ছাত্র সংসদ ফেরানোর আহ্বান ছাত্র ইউনিয়নের
বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার (৩১ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাইম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচিত ছাত্র সংসদকে টপকে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পক্ষেই হলের দখল নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভবপর হবে না। এমনকি ছাত্র সংসদের দ্বারা সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধ করে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হবে। তাই, বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধের কার্যকর রাজনীতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থানের প্রতি আমরা সংহতি জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, আবরার হত্যার পর যখন বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়, তখন সেটিকে আমরা ছাত্র রাজনীতির একটি কালো অধ্যায় হিসেবে অবহিত করেছিলাম। তবে আমাদের সুস্পষ্ট উচ্চারণ এও ছিল যে, ছাত্র রাজনীতির প্রতি শিক্ষার্থীদের এই বিরোধের পুরো দায় আবরারের খুনি, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের। সেই সময়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনে পুরো দেশজুড়ে সমর্থন জুগিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনসমূহ।
নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস প্রতিরোধে বুয়েটসহ গোটা দেশের ছাত্রসমাজকে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আবরারের নির্মম হত্যাতেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সংস্কৃতি থেমে যায়নি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরও শিক্ষাঙ্গণসহ সারাদেশে বিরোধী মত দমনে তারা সন্ত্রাসকেই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেঘমল্লার বসুসহ আরও চার ছাত্র ইউনিয়ন নেতার ওপর চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা। এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই।
কেএইচ/এমএ