ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে রাবি কর্তৃপক্ষের ২৫ পদক্ষেপ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি মেডিকেল টিম, ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স, ১২ স্থানে ওয়াশরুম ও অভিভাবকদের জন্য ২০০ আসনবিশিষ্ট ১১টি টেন্টসহ ২৫টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রক্টর কর্তৃক ক্যাম্পাসে ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, অসাধু চক্রের সদস্যদের তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, পুলিশ প্রশাসনসহ প্রক্টরিয়াল বডি বিভিন্ন সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়, ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট, ১২টি স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১২টি হেল্পডেস্ক, ১০টি স্থানে সহজে দৃশ্যমান ব্যানার ও নির্দেশিকাসহ মোট ২৫টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরনের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে, ক্যাম্পাসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনোরূপ হয়রানি ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড এবং দোকানগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, খাবারের মান বজায় রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তরের ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, কখনও কখনও অসাধু চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের নিকট থেকে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নিয়ে থাকে। এজন্য তারা কখনও কখনও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমাও রাখে এবং রেজাল্ট শিটে নাম দেখেই অর্থ দাবি করে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওইসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিজ যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেয়েও প্রতারণার শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এমন প্রতারণার খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের মতো এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মতো ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১.২৫।
জুবায়ের জিসান/কেএ