বশেফমুবিপ্রবিতে দরপত্র জমা দিতে ছাত্রলীগের বাধা

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উন্নয়নকাজের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ঠিকাদার। এ ঘটনায় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্টার রুমে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেই দরপত্র তারা জমা দিতে প্রশাসনিক ভবনে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে ৩৫/৪০ জন ছাত্র দরপত্র জমা দিতে বাধা দেন। এর ফলে তারা দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগপত্রে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করে। তারা হলো- মেসার্স শহীদুর রহমান, মেসার্স এস.আর.এস কনস্ট্রাকশন, মেসার্স লাবনী এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আদি এন্টারপ্রাইজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কক্ষে দরপত্র জমা দেওয়ার বক্স রাখা হয়। ওই কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। আজ বেলা ১১টার দিকে দরপত্র জমা দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কক্ষে ঢুকতে দেয়নি। এতে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিতে পারেনি। তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। তারা হলো- মাসুম ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ, আরজু এন্টারপ্রাইজ ও জয়নাল এন্টারপ্রাইজ।
বিজ্ঞাপন
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওছার আহমেদ স্বাধীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নিয়ে কিছু দাবি ছিল। সেই বিষয়ে হলের প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রার রুমে গিয়েছিলাম। রুমে কয়েকজন ঢুকেছিলাম আর বাইরে কয়েকজন ছিল। আমরা বলেছিলাম ৪-৫ মিনিট পরে ঢুকতে। আমরাও জানতাম না যে আজ দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগের পর দরপত্রটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে অনলাইনে দরপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রকিব হাসান নয়ন/এমজেইউ