জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সভাপতিসহ ৩ জনের নীলদলে যোগদান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ থেকে সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগমসহ ৩ জন সিনিয়র অধ্যাপক পদত্যাগ করেছেন।
এরপর তারা আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন নীলদলের (একাংশ) যোগদান করেন। বাকি দুজন হলেন, শিক্ষক সমাজের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও অধ্যাপক ড. আসমা বিনতে ইকবাল।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শিক্ষক লাউঞ্জের নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, অধ্যাপক ড. আশরাফ-উল-আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওই তিন শিক্ষককে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
নীলদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক অভিনন্দন বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এসময় তারা পূর্বের ন্যায় একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জবি স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, গত ১৬ নভেম্বর নীলদলে যোগদানের বিষয়ে স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভায় আলোচনা হয়। এতে কোনো সদস্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে আবার কেউ কেউ বিপক্ষে মত দেন। আমরা আগে সবাই নীলদলে ছিলাম। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে মতের মিল-অমিল হতেই পারে। ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। তবে দলে বিভাজন ও ভাঙন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণ ও অগ্রগতিতে কাজ করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য কিছুটা হলেও ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে জবি স্বাধীনতা-শিক্ষক সমাজ থেকে পদত্যাগ করে আমরা তিনজন নীলদলে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, শুনেছি আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির ৩ জন নীলদলে যোগাযোগ করেছেন। এতে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। তবে যেহেতু আমরা আগে নীলদলে ছিলাম। সবাই একসঙ্গে চলে এসেছি। সংগঠনের সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকত। তবে তাদের শুভ কামনা রইল।
তিনি আর বলেন, আমরা কার্যনির্বাহী সভা করে দলের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। কমিটির খালি পদ পূরণ করা হবে। আমাদের সঙ্গে বৃহৎ-সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এ সংগঠন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও করে যাবে।
এমএল/এসকেডি