যবিপ্রবিতে র্যাগিং করলে সরাসরি বহিষ্কার : উপাচার্য
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, শুধু পড়াশোনা ভালো করলেই হবে না, চারিত্রিক দিকসহ সকল দিকেই ভালো হতে হবে। আলোকিত মানুষ হতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রিদম’ আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। এর আগে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ইংরেজি বিভাগ।
উপাচার্য বলেন, যবিপ্রবি অত্যন্ত দ্রুত বর্ধনশীল একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এত দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে আর একটিও নেই। এ রকম ক্রমবর্ধনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিভাবক হিসেবে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। খুব দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা র্যাগ দিবে এবং যারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে চুপ থাকবে, র্যাগারদের বাঁচানোর চেষ্টা করবে, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাগিং যারা করবে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হবে। র্যাগিংয়ে জড়িতদের এমন ব্যবস্থা করা হবে, যেন সে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি সুস্থ ও নির্মল শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক ফারজানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ মামুন, ড. মরিয়ম জামিলা, মো. আব্দুল হালিম, শারমিন সুলতানা, তানজীর আহমেদ, প্রভাষক তাবাস্সুম ইসলাম নবনী, তুসমিত মেহরুবা আঁকা, মাহমুদুর রহমান সিয়ামসহ বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচে প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স্মারক তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। এরপর ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না নুরার কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, দেশীয় সংগীতের মনোরম উপস্থাপনা উপভোগ করেন দর্শক-শ্রোতারা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তুরাইসা বিনতে হুমায়ন ও সৈয়দ আব্দুন নূর।
এমজেইউ