সিজিপিএ নীতিমালায় অনড় ঢাবি : সিনেট সদস্য ড. কুদ্দুস
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট সদস্য ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেছেন, সিজিপিএ শর্তে ঢাবি প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এখনো আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের যে নীতিমালা রয়েছে, সেটির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তারপরও আমরা ঢাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটায় নীলক্ষেত মোড়ে একদফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা বলেন।
ড. কুদ্দুস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিটি আমরা জানি। এই দাবি আমাদের কলেজের অধ্যক্ষরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কলেজ প্রশাসনের যেসব দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে সে বিষয়গুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আগে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন পরীক্ষায় তাদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন শিথিল করে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যারা সরাসরি ঢাবির তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছেন, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতিমালা প্রযোজ্য। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব নিয়ম-নীতি শিথিল করতে চাচ্ছেন না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখন আগের মতো শিথিল নিয়ম-নীতি চাচ্ছেন।
তবে ফল প্রকাশের দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, আট বা নয় মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশের যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামনে এনেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী সাত কলেজকে ঢাবির অধীনে দিয়েছেন কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করা এবং সেশনজট দূর করার জন্য। সেখানে ঢাবি কর্তৃপক্ষ যদি কোনো বিষয়ের ফল প্রকাশ করতে সাত থেকে নয় মাস সময় নেয় সেটি কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা একমত যে, ফল প্রকাশে এত দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য একক পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। অথচ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক ও নিরীক্ষক থাকতে হয় যাতে শিক্ষার্থী পুরোপুরি ন্যায় বিচার পান। কিন্তু ঢাবিতে এখনো একক পরীক্ষক রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায়। তারপরও যদি ফল প্রকাশ করতে এতো দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সমাধানের পথ খুঁজতে এই বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম রিয়াজসহ বাকি ছয় কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা।
আরএইচটি/কেএ