সারাদেশে ৫০ হাজার চারারোপণ করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে ৫০ হাজার চারারোপণ করবেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চারা বিতরণ ও র্যালি পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা।
কর্মসূচিতে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিতরণ শেষে পরিবেশ র্যালি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, শ্যাডো, কলাভবন, লাইব্রেরি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি থেকে গাছ খেকো চাই না, নদী খেকো চাই না, খাল খেকো চাই না, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
কর্মসূচি থেকে তিনদফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ দিতে হবে; ১৮ কোটি মানুষের জন্য ১৮ কোটি গাছ লাগাতে হবে এবং নদী খাল বিল ঝিল খেলার মাঠ দখলমুক্ত করতে হবে।
এসময় বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, যারা গাছ খেকো, নদী খেকো, সাগর খেকো, পাহাড় খেকো, বন খেকো পাথর খেকো তারা দেশের সব থেকে বড় শক্র, মানব সভ্যতার শত্রু। এই দানবদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাপস উন্নয়নের নামে গাছ কাটছেন অথচ একটা গাছও তিনি কোনোদিন লাগাননি। এভাবে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করে প্রকল্পগুলো থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আর দেশটাকে জাহান্নাম বানাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, পরিবেশ দূষণকারী, নদী, খাল দখলকারীদের রাজনীতিতে অবাঞ্ছিত করতে হবে। ঋণ খেলাপি ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের যেভাবে নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করা হয় তেমনি পরিবেশ দূষণকারীদেরও নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ থাকতে হবে।
এসময় ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আহনাফ খান সাঈদ, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আসাদ বিন রনি, তিতুমীর সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পিসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এইচআর/জেডএস