উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষকদের অবস্থান, গুচ্ছে থাকবে না জবি
গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নেওয়া সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের আহ্বান জানিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চার শতাধিক শিক্ষকের অংশগ্রহণে মানববন্ধন হয়। পরে উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো গবেষণা ছাড়াই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫ মার্চ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয় সে সিদ্ধান্তগুলো কার্য বিবরণে বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গুচ্ছে অংশগ্রহণের ফলে আমাদের সেশনজট তৈরি হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক।
অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের এত অনীহা কেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্যের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেখানেই যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।
মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্য আমাদের আজকের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আবারও ৫/৬ তারিখে বিশেষ অ্যাকাডেমিক সভার আহ্বান করেছেন। ওই অ্যাকাডেমিক সভায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইউনিট ভিত্তিক কমিটি গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। আর গত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, সেটাও আমাদের উপস্থিতিতেই সংশোধন করে দেন উপাচার্য।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট সভায় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমএল/এসএসএইচ/