রবীন্দ্রনাথের সেই ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলেছে ঢাবি প্রশাসন
অমর একুশে বইমেলায় প্রবেশমুখে টিএসসি গেট সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্যটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
এদিকে একই স্থানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে একটি ব্যানার ঝুলতে দেখা গেছে।
ভাস্কর্যটিতে দেখা গিয়েছিল, নোবেল জয়ী কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কাঠের কাঠামোর ওপর বইয়ের পাতা জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের এ অবয়ব। কিন্তু, তার মুখ ‘টেপ’ লাগিয়ে বন্ধ করা এবং হাতের কাব্যগ্রন্থটি পেরেকবিদ্ধ। ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তারা বামধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : ঢাবিতে ‘গীতাঞ্জলি’ হাতে ‘মুখবন্ধ রবীন্দ্রনাথ’
ভাস্কর্য স্থাপনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র ইউনিয়নের নেতা নজীর আমিন চৌধুরী বলেন, আমরা শুনেছি প্রক্টর ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলেছেন। তার মনে হয়েছে ভাস্কর্যটি এ রকম একটি জায়গায় থাকা ঠিক হবে না। তারা আমাদের কিছু জানায়নি। প্রক্টর স্যার কেন সরিয়েছেন সেটা জানা দরকার। তার ব্যাখ্যাটা কী, সেটা জানি না এখনও। আমরা হঠাৎ করে দেখি ভাস্কর্যটি নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাস্কর্যের পাদভিটে আরেকটি ভাস্কর্য স্থাপন করায় তার নান্দনিকতা, শৈল্পিকতা ও সংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি সরিয়ে ফেলছে। গোপনে ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছিল, যেটি কেউ করার এখতিয়ার রাখে না। যারা ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছে আমরা তাদের খুঁজছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া বিশ্বকবির যে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, এতে তার প্রতিও যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি।
এইচআর/এসকেডি