ইবির সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ছাত্রলীগের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও নির্যাতনে অভিযুক্ত নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে জোরালোভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও হয়রানি করা ছাত্রলীগ কখনোই সমর্থন করে না। আমরা শিক্ষার্থীদের সুখ-দুঃখে সাথী হতে চাই।
এদিকে এ ঘটনায় ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনিককে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যারা হলেন- বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
সন্ধ্যায় ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ র্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্যাগিং নামক শব্দটি সমূলে উৎপাটনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনা যদি সত্য হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির দাবি জানাবো। আমরা সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেব।
গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা আক্তার অন্তরা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। র্যাগিংয়ের সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রাকিব হোসেন/আরএআর