ঢাবির জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহীন আলম এবং ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর হোসেন।
এই প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে রানার্স-আপ হয়েছেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজিন আহমেদ এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল রোববার সকালে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী, জহুরুল হক হল ক্রীড়া কমিটির অহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, ‘মহান ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই হলের শিক্ষার্থীদের গৌরবময় ভূমিকা স্মরণীয়।’
পড়ালেখার পাশাপাশি মেধা ও মননের বিকাশ ঘটিয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও হলের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ধরে রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৮টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেয়।
এইচআর/এমএ