আইসিপিসির ৪৬তম আসরে এশিয়ার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা ১১ মার্চ
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা তৈরি ও সমস্যা সমাধানে প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াড খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবার এশিয়াধীন ঢাকা অঞ্চল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। আসরে প্রাথমিক রাউন্ড আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অনলাইন এবং চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, আইসিপিসি'র কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, কো-চেয়ার ও ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাবুদ্দিন, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, বিশ্বখ্যাত এই প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বের মক টেস্ট ১১ ফেব্রুয়ারি এবং মূল প্রতিযোগিতা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক পর্বে বিজয়ীদের ফাইনাল পর্বের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ১৭ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। যার মক টেস্ট ১০ মার্চ এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিকভাবে প্রোগ্রামিংয়ে অংশগ্রহণে ইচ্ছুকরা ৩৯০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। চূড়ান্ত পর্বের রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। https://icpc.green.equ.bd. লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সরকারের আইসিটি বিভাগের সহায়তায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
আয়োজক কমিটির সভাপতি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ বলেন, দেশের শীর্ষ প্রোগ্রামার ও কম্পিউটার প্রফেশনালদের সঙ্গে খ্যাতিমান শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আইসিপিসি আসর। যাতে প্রতিযোগীরা পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলো মিশনে অনুষ্ঠেয় আইসিপিসির ৪৬তম আসরের মূলপর্বে দেশের হয়ে লড়ার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা বিজয়ীর স্থানে নিজেদের নাম লেখাতে না পারলেও ব্যক্তি জীবন ও কর্মস্থলে আইসিটি খাতে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। বর্তমানে ফ্রিলান্সিং সেক্টর থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ আয় করছে তা ইর্ষণীয়। তবে শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শিখতে আইসিপিসি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট হিসেবে তৈরি করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, আমরা আইসিপিসি যে আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের অনেক দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস এধরনের আয়োজন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এসবের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা হবে।
বিশ্বের প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আাইসিপিসি ফাউন্ডেশন। যাতে প্রতি দলে তিনজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা করে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলত বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।
এমএম/এমএ