ফিটনেসবিহীন বাসে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর যাতাযাতের জন্য রয়েছে বিআরটিসির ভাড়া করা ৯টি লাল বাস। ফিটনেসবিহীন ও লক্কর ঝক্কর এই বাসগুলোতে আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত নতুন বাসের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ভাড়াকৃত ৯টি বিআরটিসি বাসেরই এখন বেহাল দশা। বাসে ওঠার হাতল নেই। অধিকাংশ সিট ভাঙা থাকায় দাঁড়িয়ে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। জানালার কাচ না থাকায় বৃষ্টি হলে সিট ভিজে যায়। বাসে নেই ফ্যানের সুবিধা। বাসগুলো পুরোনো হওয়ায় মাঝে মাঝে যাত্রাপথে বিকল হয়ে যায়।
মাহমুদুল হাসান নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিআরটিসির লাল বাসগুলো ফিটনেসবিহীন। কিছুদিন আগে একটা লাল বাস গর্তে পড়ে যায়। ভাগ্য ভালো ছিল কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। থাকলে সেদিন নোবিপ্রবির কালোদিন রচিত হতো। এছাড়াও প্রতিদিন ছোট দুর্ঘটনা তো ঘটছেই।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের রামিসা নওশিন নামের আরেক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক কম। অনেকবার অভিযোগ করা হলেও আমলে নিচ্ছে না প্রশাসন। প্রায় সময় রাস্তায় বিআরটিসি বাস নষ্ট হয়ে যায়। পরীক্ষা থাকলেও যথা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারি না।
ফার্মেসী বিভাগের আবেদিন সোহাগ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শতভাগ আবাসন সুবিধা নেই ফলে বাধ্য হয়ে শহরে থাকতে হয়। আবার বিআরটিসি বাসগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রশাসনকে অনেকবার বলা হয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। আমরা চাই প্রশাসন এসব ফিটনেসবিহীন বাস দ্রুত পরিবর্তন করে নতুন বাসের ব্যবস্থা করুক।
উম্মে বতুল তাসফিয়া নামের ফার্মেসী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিআরটিসির বাসগুলো নড়বড়ে। উঠতে ভয় হয়। প্রায় বাসে লেগে আমাদের হাতে-পায়ে কেটে যায়। গরমকালে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। আমরা ভালো বাস দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন উপদেষ্টা ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। তাদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য উপাচার্য ও পরিবহন শাখা আন্তরিক। বিআরটিসির বাসে সমস্যার বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, যেনো শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারে। বাসগুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক মাস হয়েছে আমি দায়িত্বে এসেছি। আমাদের বাসগুলোর ফিটনেস আছে তবে বডিসহ কিছু সমস্যা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হচ্ছে। সপ্তাহে বন্ধের দিন পেলেই গাড়িতে আমরা কাজ করছি। সামনে শীতকালীন বন্ধ রয়েছে এ সময়ে আমরা বাস সংস্কারের কাজ শেষ করতে পারব।
হাসিব আল আমিন/আরকে