সমাবর্তন ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
চলছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন। সমাবর্তন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অধিভুক্ত বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটসহ সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া এসব গ্র্যাজুয়েট প্রস্তুতি, অনুভূতি ও সামনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সঙ্গে।
সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুব রায় চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজকের এই সকাল। এ সকাল যেমন আনন্দের তেমনি বিষাদ মুক্তির দিন। এমবিবিএস পাস করতে কত নির্ঘুম রাত আর কত ত্যাগ অবলীলায় মেনে নিয়েছি তার হিসাব নেই। তবে ভালো লাগছে, গ্র্যাজুয়েট হতে পেরেছি। প্রাপ্তির পাশাপাশি বিষাদের ঝুড়িও কম নয়। তবে আজ সব বিষাদকে মুক্তি দিতে চাই। দেশের জন্য, মানুষের জন্য জীবনের সবকিছু দিয়ে কাজ করতে চাই।
রাজধানীর মার্কস মেডিকেল কলেজ থেকে আসা আরেক শিক্ষার্থী মিষ্টি সাহা বলেন, খুব আবেগ-অনুভূতি ঘিরে সমাবর্তনে এসেছি। তবে খারাপ লাগছে মা-বাবাকে নিয়ে সমাবর্তনে অংশ নিতে পারিনি। আমি যেহেতু নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হয়েছি সেহেতু আগামীতে মানুষের সেবায় কাজ করতে চাই। গ্র্যাজুয়েশনের এই যাত্রাটা অনেক কঠিন হলেও আজ সবকিছুর বিষাদ মুছে ফেলতে চাই।
জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল এবং গবেষণা কেন্দ্রের (নিটার) শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম বলেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর আমার পড়াশোনা। দেশের বস্ত্র খাতকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে আমার চেষ্টা থাকবে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেই আমি একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছি। আজ অনেক ব্যস্ততার ভিড়েও সমাবর্তনে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তবে করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর যেহেতু সমাবর্তন পেয়েছি সেহেতু উচ্ছ্বাস-আনন্দ একটু বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফাতেমা নূর বলেন, নিঃসন্দেহে আজকের দিনটি আমার জীবনের সেরা অধ্যায় হয়ে থাকবে। সামনের দিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।
সমাবর্তনে অংশ নেওয়া একাধিক গ্র্যাজুয়েটের অভিভাবকের সঙ্গেও কথা হয় ঢাকা পোস্টের৷ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তারাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ছবি তুলছেন সন্তানদের মাথায় হাত রেখে। দোয়ার পাশাপাশি গভীর জীবনবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন তারা।
এবারের সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন।
এমএম/এসএসএইচ