ছাত্র নির্যাতনে বহিষ্কৃতরা ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় হল থেকে বহিষ্কৃতরা পদ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে আসে। হল ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এই কমিটির অনুমোদন দেন।
এতে দেখা যায়, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক পদ পেয়েছেন নাঈমুর রশীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাব্বির আল হাসান কাইয়ূম, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা উপ-সম্পাদক মাশফিউর রহমান, প্রশিক্ষণ উপ-সম্পাদক ফিরোজ আলম অপি, ছাত্রবৃত্তি উপ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারুফ এবং সাংস্কৃতিক উপ-সম্পাদক পদ পেয়েছেন সফিউল্লাহ সুমন।
গত ২৬ মার্চ বিজয় একাত্তর হলের দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও মাথায় আঘাত করার প্রমাণ পাওয়ায় এদের সবাইকে স্থায়ী বহিষ্কার করে হল প্রশাসন। গত ৪ এপ্রিল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই নোটিশে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা ব্লকের ২০১০ নম্বর কক্ষের দুজন আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আখলাকুজ্জাম অনিক ও মো. রাজীব আহমেদের ওপর নৃশংস হামলা ও মাথায় আঘাত করার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে এ কমিটি বহিষ্কৃত ছয়জনের সংশ্লিষ্টতার দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় তথা হলের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটি সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, বহিষ্কৃতরা বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সজিবুর রহমান সজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, হল কর্তৃপক্ষ তাদের হল থেকে বের করে দেয়নি, শুধু তাদের সিট বাতিল হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তরা হল প্রভোস্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেছেন। আশা করছি, পরবর্তী আসন বণ্টনে তাদের হলে আসন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হলের মধ্যে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সে অনুযায়ী হল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও সেটা নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য। তার মানে এটা নয় যে কাউকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে না। এ বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।
এইচআর/এসকেডি