শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ : জয়
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আন নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। আজ যখন শিক্ষার্থীরা সেশনজটমুক্ত ভাবে ক্লাস করে। সে সময় অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে এবং শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খল করার জন্য কাজ করে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘তারেক জিয়াকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবিতে’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
জয় বলেন, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে খুনি তারেক জিয়া মাস্টার মাইন্ডে ঘৃণ্য অপচেষ্টায় এই গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সে মামলার রায় হয়েছে। খুনি তারেক জিয়াকে দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানাই তারেক জিয়াকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা যেন তারা করে।
তিনি বলেন, যারা বারবার দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে বলে তাদের বলতে চাই, দেশ শ্রীলঙ্কার মত হলে কি ভালো হবে? আপনারা বাংলাদেশের বাইরে থাকেন নাকি? আপনারা কথায় কথায় হাসি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কার পথে। আপনাদের এ সব কথা দেশের মানুষ গ্রহণ করেনি।
জয় আরও বলেন, দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিএনপি সরকারের সময় জানতে দেওয়া হয়নি। ৮ম শ্রেণির বইয়ে বিভিন্নভাবে খুনি জিয়ার নামে পাঠ্য বইয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। আজ শেখ হাসিনার নামে সঠিক ইতিহাস জানতে পারছি।
সভাপতির বক্তব্যে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ২১ আগস্টের হামলায় আপনারা জড়িত না হলে বিবৃতি দিতে পারতেন। এটি দুঃখজনক, কলঙ্কতম অধ্যায়। আপনারা উল্টো হামলাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়তা করেছেন। সেদিন হামলার শিকার নেতাকর্মীদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেননি।
তিনি বলেন, এখনও দেশবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। সবাইকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে। আরব বিশ্ব থেকে মুসলিম দেশের নামে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে ফান্ড, চাঁদা সংগ্রহ করে এবং সেগুলো ব্যবহার করে জঙ্গি গোষ্ঠীকে অস্ত্র কিনে দেয়। দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।
এইচআর/এসকেডি