চা-শ্রমিকদের আন্দোলনে জবির দুই শিক্ষার্থীর সংহতি
সিলেটের চা-শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন তারা।
এ দুই শিক্ষার্থী হলেন— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের ১২তম নাহিদ ফারজানা মিম ও বাংলা বিভাগের ১১তম শিক্ষার্থী খবিরউদ্দিন লানচু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ফারজানা মীম বলেন, এই উচ্চমূল্যের বাজারে যেখানে জীবন ধারণের জন্য সব দ্রব্যের দাম এত বেশি, সেখানে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা, যা অমানবিক এবং অন্যায্য। চা শ্রমিকদের ৮০ ভাগ নারী শ্রমিক, তারা প্রতিদিন ৮/১০ ঘণ্টা কাজ করে ২৪ কেজি পাতা তোলেন এবং বিনিময়ে পান মাত্র ১২০ টাকা, মালিকপক্ষ মাঝে মাঝে নানা অজুহাতে জরিমানা করে ওই ১২০ টাকা থেকেও কেটে রাখেন।
আরও পড়ুন: জবিতে বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
অনিবন্ধিত চা-শ্রমিক পান সপ্তাহে মাত্র ৯০/১০০ টাকা। নেপালে চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩২৪ টাকা, কেরালায় ৫০৩ টাকা, কর্নাটকে ৪৪৯ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ৪১৫ টাকা। সেখানে বাংলাদেশে শ্রমিকদের মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। দেশ স্বাধীন হলেও এই রাষ্ট্রে চা শ্রমিকদের অবস্থান আধুনিক কৃতদাসের মতো। ১২ দিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির জন্য শ্রমিকেরা কর্মবিরতি ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ১২ দিনের টানা আন্দোলনের পরও মালিকপক্ষ নানা অজুহাতে তাদের ন্যায্য দাবিকে মানতে নারাজ, মালিকপক্ষকে তাদের দাবি মানতে হবে। এই আন্দোলন অত্যন্ত ন্যায্য আন্দোলন, আমরা তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে তাদের সঙ্গে ঘটমান অন্যায্যতা ও অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার হওয়া জরুরি।
আরেক শিক্ষার্থী খবির উদ্দিন লানচু বলেন, চা-শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি খুবই ন্যায়সঙ্গত। মালিকপক্ষ ও রাষ্ট্রকে তাদের দাবি মানতে হবে। কোনোভাবে তাদের আন্দোলন বা ন্যায্য দাবিকে বানচাল করার চেষ্টাকে আমরা অত্যন্ত ঘৃণা করি। চা-শ্রমিকদের নোংরা রাজনীতির শিকার না বানিয়ে রাষ্ট্রের উচিত তাদের দাবি মেনে নেওয়া।
এসএসএইচ