পদ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করব : জয়
কোটি টাকার পদ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণ দিতে পারলে এখনই পদত্যাগ করবেন এবং শাস্তি মাথা পেতে নেবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে সংগঠনকে বিতর্কিত করবে এমন কাউকে আমাদের দরকার নেই। আমাদের এখনই সজাগ থাকতে হবে যারা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করে তাদের নেতৃত্বে আসার কোনো দরকার নেই। এখন কোনো কিছু লুকিয়ে রাখা যায় না। আমরা যদি অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করি সেটা লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই সেটা সকলেই জানবে। কিন্তু কিছু দিন পরপর শুধু ২০ লাখ, ৩০ লাখ, ১ কোটি টাকা খাইছো- এমন নাম সর্বস্ব কথা বলবেন না কেউ।
কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, কিছুদিন আগে দেশ রূপান্তর পত্রিকায় একটা নিউজ দেখেছি কোটি টাকার পদ বাণিজ্য হয় নাকি ছাত্রলীগে। আপনি যদি দেখাতে পারেন, প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে এখনিই ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করব। ২০-৩০ হাজার টাকার ঢাকায় একটা বাসা এটা আপনারা কী মনে করেন এটা কি খুব বেশি! এটা খুব নরমাল একটা বিষয় কিন্তু আপনারা নিউজ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি ৭০ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে থাকেন। আমরা কি ফ্ল্যাটে থাকতে পারব না?
তিনি বলেন, আমি মাঝে মাঝে হাসি আমরা ছাত্রলীগ করে কী একদমই রাস্তায় নেমে গেছি। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। নিজের টাকা খরচ করে, না খেয়ে প্রত্যেক নেতাকর্মী এখানে কাজ করে। কিছু হলেও কোটি টাকার কথা, কোটি টাকা এত সহজ নাকি। আর একজন নেতাকর্মী কেন কোটি টাকা দিয়ে পদে আসবে। সুতরাং আপনারা প্রমাণসহ কথা বলেন তাহলে আমরা মেনে নেব এবং যে শাস্তি দেন মাথা পেতে নেব।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, কিছু লোক সংগঠনকে বিতর্কিত করার জন্য খন্দকার মোশতাকের মতো গাপটি মেরে বসে আছে। ব্যক্তি স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দলীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে টাকা খেয়েছি তাহলে আমি এখনই পদত্যাগ করব। আন্দাজে কথা বলে সংগঠনকে কেউ বিতর্কিত করব না। আমরা খবর পেয়েছি অনেক খন্দকার মোশতাক লিখে লিখে নাকি সাংবাদিকদের পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি প্রসঙ্গে জয় বলেন, গ্রেপ্তারের আগে তিনি তার চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন কেউ যেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে। তিনি প্রয়োজনে দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত বলেও সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে গেছেন। তিনি কখনো অর্থ বা সম্পদকে মনে ধারণ করেননি। তিনি শুধু জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার মতো কোনো নেতৃত্ব আমরা আর পাবো না।
এ সময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
এইচআর/এসকেডি