ঢাবিতে ধনীদের সন্তানের কাছ থেকে বেশি ফি নেওয়ার প্রস্তাব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিজস্ব আয় বাড়াতে ধনী পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা টিউশন ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
মমতাজ উদ্দিন বলেন, সমাজের বিত্তবান অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার যুক্তিসংগত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। যা থেকে গরিব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর পরিচালনা ব্যয়ের পুরোটাই আসে সরকার থেকে। বর্তমানে সব শিক্ষার্থীর বেতন একই হারে নেওয়া হয়ে থাকে। এখন সেই হারে পরিবর্তন আনা জরুরি।
তিনি বলেন, ভর্তুকিমূলক উচ্চশিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত নয়। এই দেশে প্রায় ১৫ শতাংশ লোক আয়কর প্রদান করেন। পরোক্ষ করই সরকারের রাজস্বের প্রধান উৎস। এই পরোক্ষ কর ধনী বা দরিদ্রনির্বিশেষে সবাই দিয়ে থাকেন। দরিদ্রদের দেওয়া পরোক্ষ করের টাকায় ধনী পরিবারের সন্তানদের প্রায় বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান অযৌক্তিক। তাই ‘অ্যাবিলিটি টু পে’ নীতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি নির্ধারণ করা যেতে পারে।
অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট পাস করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট। এ ব্যয়ের ৮৪ শতাংশ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এইচআর/এমএইচএস