বুয়েটকে পেছনে ফেলে উচ্চ শিক্ষায় দেশসেরা ঢাবি
উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা ওয়েবমেট্রিকসের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশে শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ঢাবি এখন দেশসেরা উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এই মাইলফলকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট)।
এরপর শীর্ষ দুই এবং তিনে রয়েছে যথাক্রমে বুয়েট এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। ২০০৪ সাল থেকে ওয়েবমেট্রিকস নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। গত বছরের জুলাইয়ে দেওয়া প্রতিবেদনে দেশের ১৬৮টি পাবলিক-প্রাইভেট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুয়েটের অবস্থান ছিল প্রথম।
বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে সংস্থাটির জানুয়ারি ২০২১ সংস্করণে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এবার তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের ১৭৩টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়েবমেট্রিকসের ১৮তম সংস্করণে বলা হয়, বাংলাদেশের ১৭৩টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাবির অবস্থান প্রথম। তবে ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান এক হাজার ৬৩৪তম। এছাড়া বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে দুই হাজারের ভেতরে বাংলাদেশের ঢাবি ছাড়া বুয়েটেরও জায়গা হয়েছে; অবস্থান এক হাজার ৭০২তম।
এদিকে, শীর্ষ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক ও প্রাইভেট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজের স্থান হয়েছে। তালিকার ৫৬তম স্থানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক), ৬৭তম স্থানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, ৭২তম স্থানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক), ৮২ ও ৮৩তম স্থানে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়া তালিকায় স্থান হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কবি নজরুল সরকারি কলেজেরও। প্রতিষ্ঠানটি ১৭৩তম স্থানে রয়েছে।
সংস্থাটির এবারের সংস্করণে বিশ্বসেরা তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইয়েল ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো। তালিকার শীর্ষ ১০-এর মধ্যে ৯টিই যুক্তরাষ্ট্রের। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটি।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং তৈরিতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক এবং প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করে ওয়েবমেট্রিকস। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ৫০ শতাংশ, টপ সাইটেড গবেষকদের ১০ শতাংশ এবং টপ সাইটেড প্রবন্ধ ৪০ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে র্যাঙ্কিং তৈরি করে মাদ্রিদভিত্তিক এ শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা।
সেক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের প্রবন্ধগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের ১ থেকে ২০ তারিখে মধ্যে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়েবমেট্রিকস।
এফআর