২ বছর পর ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়া চালু
দীর্ঘ দুই বছর দুই মাস পর চালু হয়েছে ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়া। মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন ও ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আবদুল কুদ্দুস সিকদার ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করেন। এরপর এটি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আবদুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, করোনার দীর্ঘ ছুটি ও পরবর্তী সময়ে সংস্কারকাজসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘ দুই বছর ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখতে হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জোর প্রচেষ্টায় এটি আবার চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে আমরা নীতিমালা তৈরি করে দিয়েছি। নিয়মিত পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মনিটরিং করবেন যাতে এসব নীতিমালা পরিপালনে ব্যত্যয় না ঘটে। মান বজায় রেখে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে ক্যাফেটেরিয়ার ভর্তুকিতে কোনো বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন বলেন, সরকারি কলেজ হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকির সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় যেমন স্বায়ত্তশাসিত আমাদের তেমনটি নয়। আমরাও চাই যেন সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক দামের চেয়ে কিছুটা কম দামে খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উত্তর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুল করিম, দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক নাসির হোসেন প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ক্যাফেটেরিয়া সচল হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও দামের ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, কলেজের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম আর বাইরের হোটেলের খাবার দাম একই। দেশের শীর্ষস্থানীয় এবং পুরনো একটি কলেজ হলেও ক্যান্টিনে কোনো অনুদান নেই এটি অযৌক্তিক। কলেজের নিজস্ব জায়গা হওয়ার কারণে ক্যাফেটেরিয়ার জন্য কোনো ভাড়া দিতে হচ্ছে না। এরপরও কেন শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে না? প্রশ্ন রাখেন তারা।
দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পাশ কাটিয়ে অবশেষে ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা চাই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সবসময় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা হলেও ভর্তুকি মূল্যে খাবার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কলেজ প্রশাসনের। সেটি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
আরএইচটি/এসকেডি