ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর বাকৃবিজুড়ে নীরবতা, ক্লাসে নেই শিক্ষার্থীরা
সোমবার (৩০ মে) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিনভর উত্তেজনা ও সহিংসতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এই ঘটনায় আজ (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে ক্লাসেও দেখা যায়নি কোনো শিক্ষার্থীকে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যে কেউকে আজ ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, অনিবার্য কারণবশত ৩১ মে’র সব পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবারের ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে এখনো বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ। ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ক্লাসরুমগুলোও ছিল একদম ফাঁকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। এ জন্য তারা ক্লাসে যেতেও ভয় পাচ্ছে। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনেকেই এখনো মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আজকের চলমান পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংগঠনের নের্তৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে চলমান সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনব।
প্রসঙ্গত, গতকাল (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুইন নাদিম আল মুন্নাকে মারধরের ঘটনায় সংঘর্ষে জড়ায় বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে আহত হয় প্রায় ৫০ জন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরআই