নেতৃত্বের জন্য এ প্রজন্মের নেতাদের তৈরি হতে হবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার কারণে ছাত্রলীগকে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে, নেতৃত্বের জন্য তৈরি হতে হবে এ প্রজন্মের নেতাদের।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর সাধারণ মানুষ প্রাণ ফিরে পায়। সবাই বলতে থাকে শেখের বেটি এসেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বদলে দিবেন বাংলাদেশকে। সত্যিই বদলে দিয়েছেন। মধ্যম আয়ের দেশে আমরা পরিণত হয়েছি। আমাদের মাথাপিছু আয় ২৭০০ ডলারের কাছাকাছি।
কোভিড সফলভাবে মোকাবিলা করেছি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের অবস্থান প্রথম। প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নীতি অনুসরণ করে স্বাস্থ্যখাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করেন, যা এ খাত পরিবর্তনে অনেক অবদান রয়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে বাংলাদেশের মানুষের।
তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি সম্মাননা পেয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নে জন্যে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এসডিজির করণীয় নির্দেশনাগুলো আমরা অতিক্রম করেছি, এজন্যে গতবার জাতিসংঘ থেকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন দেশের অগ্রগতি হতে থাকবে। নির্বাচনে আমরা কোনো পেশি শক্তির ওপর ভরসা করি না। আগামী নির্বাচনে আমরা জনগণের ভোটেই আবার নির্বাচিত হব।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের প্রশংসা করে বলেন, তারা পরিষ্কার রাজনীতি করে। তাদের কোনো অন্যায় কাজে সুপারিশ করতে দেখিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন (কেরানীগঞ্জ) ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটা পুলিশ ফাঁড়ির দাবি জানানো হলে তিনি বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি কেন, প্রয়োজন হলে সেখানে থানা করে দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি চলবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। জগন্নাথের নাম শুনলে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠান থেকেই আমার রাজনীতির শুরু।
নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আন্দোলন হতো না। আমি আশা করি, আগামীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, নেতৃত্ব দেবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, এমন সুন্দর আয়োজন এবং অতিথি হয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ, নজরুল ইসলাম বাবু, বাবু দেবাশীষ বিশ্বাস, কামরুল হাসান রিপন, গোলাম ফারুক স্বপন, গাজী আবু সাইদ, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, অবৈধ বিএনপিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ছাত্রদলকে টাকা-পয়সা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্যের কারণে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্ষমা না চাইবে।
এমটি/এসএম