ঢাবির সিনেট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেলেন যে ৩ প্রার্থী
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নীতিনির্ধারণী ফোরাম (ঢাবি) সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিনেট ভবনে ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। এই দল থেকে ৩২ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মোট ৩৫ পদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র তিনজন।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে প্রথম হয়েছেন পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। ১৩০৩ ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯১২ ভোট। তিনি একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক এম সৈয়দ। তিনি পেয়েছেন ৮৩১ ভোট। একইসঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া। তিনি ৮২৫ ভোট পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রথম প্রভোস্ট ছিলেন এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য।
সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিনজনই আওয়ামীপন্থী নীল দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করায় সব শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই তিন শিক্ষক। এছাড়া উপাচার্যের স্বাক্ষরের মাধ্যমে নির্বাচিতদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কমিশনার মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, মোট ১৩৪৬টি ভোট কাস্ট হয়। এরমধ্যে ৪৩টি ভোট বাতিল করা হয়। কাউন্ট করা হয় ১৩০৩টি ভোট। নির্বাচনে নীল দলের ৩২ জন এবং সাদা দলের ৩ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আগামী ১৬ জুন থেকে পরের তিন বছরের জন্য তারা দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে সদস্য সংখ্যা ১০৫। এর মধ্যে শিক্ষক প্রতিনিধির ৩৫টি পদ রয়েছে। তাদের মেয়াদ তিন বছর। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে সবশেষ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২২ মে। সেই নির্বাচনে নীল দলের ৩৩ জন আর সাদা দলের ২ জন জয়ী হয়েছিলেন।
এইচআর/এমএইচএস