হলের কক্ষ দখল নিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের কক্ষ দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের অনুসারীরা। মঙ্গলবার (১ মার্চ) মধ্য রাতে হলের ২১২ নং কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুনের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হলের ২১২ নম্বর কক্ষটি আগে থেকেই সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ারের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে কক্ষটিতে এখন সভাপতির পক্ষের কয়েকজনও থাকছেন। মঙ্গলবার রাতে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী কয়েকজন কর্মীকে ওই কক্ষে তুলতে গেলে সভাপতির পক্ষের কর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে ওই কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন সভাপতির অনুসারীরা। কক্ষটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে হল প্রভোস্টের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক সমঝোতা হলেও এখনো পর্যন্ত বিষয়টির রেশ রয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, হল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রুম দখলকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যে যার মতো করে রুম দখলে নিচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য বিষয়টি বিব্রতকর এবং পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। কোনো পক্ষের রাজনীতি না করলে সিট পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না। আমরা হল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্ষটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে দাবি করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কক্ষটি আগে থেকেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৮ জনের মধ্যে ৮ জনই আমাদের অনুসারী। আমরা যখন ক্যান্ডিডেট ছিলাম তখন থেকেই। রাতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীদের তুলতে গেলে আমাদের কর্মীরা বাঁধা দেয়। সেটা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।
সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন বলেন, ২১২ নং কক্ষে আমার এবং সভাপতির কর্মীরা ছিল। আমাদের কয়েকজনকে এ রুমে শিফট করতে গেলে তারা তালা লাগিয়ে দেয়। এটাকে কেন্দ্র করেই একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তখনই আমরা প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ আমরা দুজন কথা বলে ঘটনাটির পুরোপুরি মিটমাট করে নেব।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত হল এবং রুম পরিদর্শন করি। উভয় পক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কাকে কোন সিট দেওয়া হবে সেটা হল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে।
এইচআর/এসকেডি