প্লেনের ইঞ্জিন চুরি হয়নি, ইউনাইটেডের হেফাজতেই আছে
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি প্লেনের ইঞ্জিন খোয়া যাওয়ার সংবাদ শোনা গেছে। তবে তদন্তের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ইঞ্জিনটি খোয়া যায়নি। ৬-৭ মাস আগে বিমান থেকে ইঞ্জিনটি খুলে নিয়ে গেছে খোদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ইঞ্জিন খুলে নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছে ইউনাইটেড এয়ার।
রোববার (২২ আগস্ট) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কোনো এক কারণে বিমান থেকে ইঞ্জিন খুলে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। তারা কী কারণে রেখেছে সেটা আমরা জানি না। ৬-৭ মাস আগে তারা হেফাজতে নিয়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে কোনো ঘটনাই নয়। তাদের ইঞ্জিন তারা নিয়ে গেছে। তাছাড়া আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি অনুযায়ী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব সরাসরি এয়ারলাইন্সের, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। ইউনাইটেডের ইঞ্জিন তারাই খুলে নিয়ে গেছে, এতে কারও কিছু করার নেই।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরির তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে কয়েকটি দৈনিক। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নব-গঠিত পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য বলেন, ইঞ্জিন তো আর ছোট জিনিস নয় যে চুরি হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই এটি উড়োজাহাজ থেকে খুলে কোথাও রাখা হয়েছে।
দেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করে। তবে ২০১৬ সালে হঠাৎ অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করে তারা। সেসময় তাদের বহরে ১০টি উড়োজাহাজ ছিল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে টেনে তুলতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকা ইউনাইটেডের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ২০৩ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা পাওনা রয়েছে। সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে এয়ারলাইন্সটির পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো নিলামে তুলতে চেয়েছিল বেবিচক। কিন্তু ইউনাইটেডের নতুন পর্ষদের অনুরোধে আপাতত নিলাম স্থগিত রাখা হয়েছে।
এআর/এসএসএইচ