লকডাউনে অভ্যন্তরীণ রুটে ইউএস-বাংলা ও বিমানের ৭ ফ্লাইট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এ সময় অভ্যন্তরীণ রুটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চলছে। ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে আরেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নভোএয়ার কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করছে না।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, লকডাউনে প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য শুক্রবার (২৩ জুলাই) মোট ৭টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ইউএস-বাংলা ৫টি ও বিমান ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইটগুলোর মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম, ১টি করে সিলেট, সৈয়দপুর ও যশোর রুটের। বিমানের দুটি কানেক্টিং ফ্লাইটের একটি চট্টগ্রাম ও অপরটি সিলেটের। বিদেশ থেকে আসা ও বিদেশগামী স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে তারা ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিধিনিষেধের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছিল বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে প্রবাসীদের বাড়িফেরা ও ঢাকা থেকে ফ্লাইট ধরার ভোগান্তির কথা বিবেচনায় পরে শুধুমাত্র তাদের জন্যে ফ্লাইট চালু রাখার ঘোষণা দেয়।
বেবিচক জানায়, যাত্রী বিদেশ থেকে এসেছেন কি না বা বিদেশে যাবেন কি না সেটি নিশ্চিত হতে তার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট যাচাই-বাছাই করতে হবে এয়ারলাইন্সকে। যাচাই-বাছাইয়ের পরেই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বোর্ডিং পাস দিতে হবে।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল সরকার।
এআর/এইচকে