গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের যুক্ত হলো ৩২টি যন্ত্র

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে একসঙ্গে ৩২টি নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট যন্ত্র যুক্ত করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বুধবার (৫ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সাপোর্ট শাখার উদ্যোগে “নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট যন্ত্র কমিশনিং ২০২৫” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় ধরনের মোট ৩২টি অত্যাধুনিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট যন্ত্র যুক্ত করেছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি কন্টেইনার প্যালেট লোডার, ১২টি কন্টেইনার প্যালেট পরিবহন যন্ত্র, ৯টি বেল্ট লোডার, দুটি ১১৫ টন ও পাঁচটি ৬৫ টন ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং দুটি এয়ার স্টার্ট যন্ত্র। এসব যন্ত্র যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান আরও উন্নত হবে এবং তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন ব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে বলে জানিয়েছে বিমান।
এর আগেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট যন্ত্র সংযোজন করেছে। এসব যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি ফর্কলিফট, পাঁচটি আধুনিক যাত্রী পরিবহন বাস, ১৮টি টো ট্র্যাক্টর, ছয়টি বেল্ট লোডার, দুটি পুশব্যাক টো ট্র্যাক্টর ও আটটি বিদ্যুৎ সরবরাহ যন্ত্র। খুব শিগগিরই আরও ১৪টি কন্টেইনার প্যালেট লোডার, ছয়টি যাত্রী সিঁড়ি, চারটি পুশ কার্ট এবং চারটি উন্নতমানের অ্যাম্বুলিফট বহরে যুক্ত হবে।
শুধু যন্ত্র সংযোজনই নয়, দক্ষ জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগও নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ইতোমধ্যে ২০ জন সহকারী ব্যবস্থাপক, ৮১ জন যন্ত্র চালক, ৭১ জন প্রকৌশলী ও মেরামতকর্মীসহ মোট ১৯৩ জন নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করতে এসব নতুন কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাফিকুর রহমান বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং দক্ষ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বিমান তার সেবার মান আরও উন্নত করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এআর/এআইএস