৬ মিনিটে ২৩ হাজার ফুট নিচে প্লেন, কী ঘটেছিল সেই ফ্লাইটে?
![৬ মিনিটে ২৩ হাজার ফুট নিচে প্লেন, কী ঘটেছিল সেই ফ্লাইটে?](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024June/air-arabia-202406112125011-20240612022909.jpg)
স্বাভাবিকভাবেই উড়ছিল প্লেনটি। তবে মুহূর্তেই মাত্র ৬ মিনিটে প্রায় ২৩ হাজার ফিট নিচে নেমে যায়। ফলে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিচ্ছিল প্লেনটির অভ্যন্তরে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের জমশেদপুরের আকাশ থেকে ঢাকায় ফিরে আসে এয়ার অ্যারাবিয়ার শারজাহগামী এবিওয়াই-৫১৫ ফ্লাইট।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঢাকার আকাশে প্রবেশের পরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে জরুরি অবতরণের অনুমতি চায় ফ্লাইটটি। অবশেষে নিরাপদে অবতরণ করে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) শারজাহগামী এয়ার অ্যারাবিয়ার এই ফ্লাইটটিতে মোট ১৫২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত ও সুস্থ রয়েছে।
এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটটি শ্রীলঙ্কার ফিটস এয়ার থেকে ভাড়ায় নেওয়া এয়ারবাস এ-৩২০-২৩২ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। এয়ারক্রাফটটির বয়স প্রায় ১৭ বছর।
আরও পড়ুন
ফ্লাইটটির বিষয়ে বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। তবে, এটি সাড়ে ৫টায় ঢাকা ছাড়ে। ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে এটি ভূমি থেকে প্রায় ৩২ হাজার ফিট উপরে উঠে যায়। তবে, সোয়া ৬টার দিকে হঠাৎ ফ্লাইটটি দ্রুতগতিতে নিচে নামতে থাকে। প্রতি মিনিটে ৩৭৬০ ফিট নেমে ছয় মিনিটের মাথায় প্রায় ২৩ হাজার ফিট নিচে নেমে যায়।
পরে ফ্লাইটটির পাইলট নিজ দক্ষতায় ফ্লাইটটি ভারত থেকে ঢাকায় এনে অবতরণ করতে সক্ষম হন।
সূত্র জানায়, পাইলটের কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকা বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখে। উত্তরার একটি হাসপাতালেও অবগত করা হয় বিষয়টি। তাদের আগাম প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়। পরে রাত ৯টার কাছাকাছি সময়ে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রেসার ইস্যুর কারণে এটি জরুরি অবতরণ করে। এতে ১৪৫ জন যাত্রী ৭ জন ক্রু ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। এয়ারক্রাফটটি বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরের পার্কিং বে’তে রাখা আছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা জানান, প্লেনে কেবিন প্রেসার কারিগরি ত্রুটি। জানালায় ফাটল ধরা ও বিমানের দরজাগুলো পুরোপুরি বন্ধ না করার কারণে এটি হতে পারে।
কেবিন প্রেসার কমলে শ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনে ঘাটতি দেখা দেয়। এতে যাত্রীদের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরতে পারে। বিভিন্ন গ্রন্থিতে ব্যথা, প্যারালিসিস বা মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
এআর/কেএ