চুরি করতে ঘনঘন প্লেনে চড়তেন, এখন তিনি হোটেলেরও মালিক
প্লেনের ফ্লাইটেও ঘটছে চুরির ঘটনা। এর সঙ্গে জড়িত একজন সম্প্রতি গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ফ্লাইটে চেপে যাত্রীদের হাতব্যাগ থেকে গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করত।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে যাওয়া ফ্লাইটে চড়তেনই শুধু চুরি করার জন্য। সোমবার (১৩ মে) দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজেশ কাপুর। বয়স ৪০ বছর।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০০৫ সাল থেকে এমন কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। বহু বছর ধরে তিনি ট্রেনের এসি কোচে যাত্রীদের কাছ থেকে চুরি করতেন। পরে তিনি ফ্লাইটে এ কাজ শুরু করেন। প্লেনে চুরি করার জন্য তিনি প্রায় ১১০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ২০০ বার ফ্লাইটে চেপেছিলেন। কখনো কখনো দিনে ৪-৫টি ফ্লাইটেও চড়েছেন। চুরি করে করে এখন একটি হোটেলেরও মালিক তিনি।
আরও পড়ুন
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইজিআই) ঊষা রঙ্গনানি জানান, অভিযুক্তকে পাহাড়গঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া গয়না সেখানেই রেখেছিল চোর। তিনি গয়নাগুলো ৪৬ বছর বয়সী শরদ জৈনের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। ওই শরদ জৈনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ এপ্রিল একজন যাত্রী হায়দ্রাবাদ থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। এসময় প্লেনে তার সাত লাখ টাকার গয়না চুরি হয়ে যায়। ২ ফেব্রুয়ারি চুরির আরও একটি একইরকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। অমৃতসর থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন এক আমেরিকান যাত্রী। তার ২০ লাখ টাকার গয়না চুরি হয়েছিল। তারপরই জোরালোভাবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত মূলত নিজের জন্য সহজ লক্ষ্য খুঁজত। বিশেষ করে বয়স্ক মহিলাদের টার্গেট করা হতো। কারণ, অভিযুক্ত জানত যে বেশিরভাগ যাত্রী নিজেদের হ্যান্ডব্যাগে মূল্যবান জিনিসপত্র বহন করে, তাই সে বড় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, যেমন এয়ার ইন্ডিয়া ও ভিস্তারা ফ্লাইটে চড়ে দিল্লি, চণ্ডীগড় এবং হায়দ্রাবাদে যাতায়াত করত। চুরির সময় অভিযুক্ত চুপিসারে ওভারহেডের কাছে গিয়ে যাত্রীদের হ্যান্ডব্যাগ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিত। যাত্রীরা বিমানে উঠে সিট খুঁজতে যখন ব্যস্ত থাকতেন, সেই সময়ই কাজ সেরে নিত চোর।
এসএসএইচ