আগে সবাইকে সাসপেন্ড, পরে তদন্ত : বেবিচক চেয়ারম্যান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাস ছাড়া প্লেনে শিশু ওঠার ঘটনায় যাদের গাফিলতি ছিল প্রত্যেককে সাসপেন্ড করার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টকে এ কথা জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। আজ রাতে অথবা আগামীকাল বুধবার তাদের সাসপেন্ডের আদেশটি জারি হতে পারে।
এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আনুমানিক ৮-১০ বছরের একটি ছেলে শিশু ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস না নিয়েই প্লেনে উঠে যায়। এই ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
আরও পড়ুন- পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই প্লেনে উঠে গেল শিশু, শাহজালালে তোলপাড়
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখেছি- একটি বয়স্ক দম্পতির সঙ্গে শিশুটি ইমিগ্রেশন পার হয়ে গেছে। শিশুটি যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেনি সেটি অফিসাররা খেয়াল করেননি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিবিড় তদন্ত হবে। তবে, তদন্তের আগে ইমিগ্রেশন অফিসারসহ যেসব ধাপ পার হয়ে শিশুটি প্লেনে গিয়েছে, সেসব জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা যারা ছিল তাদের সাসপেন্ড করার নির্দেশনা দিয়েছি। সাসপেন্ড করার পর তদন্ত শুরু হবে।
৮-১০ বছরের ছেলে শিশুটিকে সর্বশেষ বিমানবন্দর থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে এভসেক। বর্তমানে সে থানায় অবস্থান করছে।
এভসেকের পরিচালক উইং কমান্ডার মিরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটির বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা গোপালগঞ্জে থাকেন। তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী ডিউটি পাস ব্যবহার করে চলাফেরা করে। বাকী যারা যাত্রী তারা পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস দিয়ে চলাফেরা করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ঢুকে ইমিগ্রেশনসহ প্রায় ৮/১০ টি ধাপ পেরিয়ে প্লেনে চড়তে হয়। কোনো ধাপেও শিশুটিকে না আটকানোর বিষয়টি নিরাপত্তাহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন অনেক যাত্রী।
এ বিষয়ে ফোনে ও এসএমএসে চেষ্টা করেও বিমানবন্দরের মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া শিশুটি কোথা থেকে এল, বিমানবন্দরে কীভাবে প্রবেশ করল- সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
এআর/এমজে