বিমানের সদ্য চালু টরন্টো রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে এমিরেটস
কানাডার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে এয়ার কানাডার সঙ্গে চুক্তি করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এমিরেটস। এছাড়াও টরন্টো রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে তারা। বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সরাসরি টরন্টো রুটে ফ্লাইট চালু করেছিল। তবে এই রুটে এমিরেটসের ফ্লাইট বৃদ্ধি ও কানাডার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা বিমানকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে।
এমিরেটস বাংলাদেশ জানায়, আগে দুবাই থেকে কানাডার টরন্টোতে সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করতো এমিরেটস। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন একটি করে (সপ্তাহে ৭টি) ফ্লাইট চালাবে তারা।
বর্তমানে ঢাকা থেকে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এমিরেটস। ফ্লাইটগুলোতে বাংলাদেশিরা ঢাকা থেকে দুবাই ট্রানজিট নিয়ে টরন্টোসহ কানাডার বেশ কয়েকটি শহরে যেতে পারবেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এমিরেটস জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং কানাডার মধ্যে সম্পাদিত উড়োজাহাজ চলাচল চুক্তির ফলে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ পেল এমিরেটস। বাংলাদেশ, ভারত, ইউএই, পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব ও শ্রীলঙ্কার থেকে টরন্টো ভ্রমণের বিপুল চাহিদা রয়েছে। তেমনিভাবে টরন্টো থেকে এসব দেশে ভ্রমণকারীদের সংখ্যাও বিশাল। দুবাই-টরন্টো রুটে এমিরেটসের প্রতিটি ফ্লাইটই সম্পূর্ণ বুকড থাকে।
এমিরেটসের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আদনান কাজিম বলেন, ‘আমরা ২০০৭ সাল থেকে টরন্টো ও দুবাইয়ের মধ্যে গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে আসছি। অবসর ও করপোরেট ভ্রমণকারী, প্রবাসী এবং ছাত্রদের কাছ থেকে আরও বেশি ভালো পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক জুড়ে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো।’
২০০৭ সালে টরন্টোতে ফ্লাইট শুরু করে এমিরেটস। ২০০৯ সাল থেকে দুবাই-টরন্টো রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হচ্ছে বিশালকার দ্বিতল এয়ারবাস এ৩৮০। এই উড়োজাহাজের প্রতি ফ্লাইটে ৪৯১ যাত্রী পরিবহন করছে এয়ারলাইনটি। নতুন দুটি ফ্লাইট চালু হলে এই রুটে এমিরেটসের পরিবহন সক্ষমতা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার যাত্রী আসন পাবেন।
এমিরেটস আরও জানায়, তারা এয়ার কানাডার সঙ্গে একটি কোড শেয়ার চুক্তি করেছে। এর ফলে যাত্রীরা টরন্টো হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কানাডার অভ্যন্তরীণ অনেক গন্তব্যে ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে অটোয়া, মন্ট্রিয়েল, এডমনটন, ক্যালগেরি ও হলিফ্যাক্স উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে টরন্টো রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এই রুটে ফ্লজেট ফুয়েল নেওয়ার জন্য যাত্রাপথে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করে বিমান। তবে কানাডার সিভিল এভিয়েশন বিমানকে তুরস্ক থেকে যাত্রী নেওয়ার ও কোড শেয়ারিংয়ের অনুমতি দেয়নি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বিমানকে যাত্রী বহন ও কোড শেয়ারিংয়ের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।
এআর/ওএফ