চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা শুরু, ইউএস বাংলায় ছাড়
চট্টগ্রামে ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ক সাময়িকী দি বাংলাদেশ মনিটরের উদ্যোগে ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা চিটাগং ট্রাভেল মার্ট ২০২৩’ শীর্ষক ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় দি পেনিনসুলা চিটাগং হোটেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছি। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। কক্সবাজার, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর ও রাজশাহীসহ সব বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেটে কার্গো বিমান ল্যান্ড করার মতো রানওয়ে তৈরি হবে।
তিনি বলেন, সরকার পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য সোনাদিয়া, সাবরাং ও কক্সবাজারে আলাদা জোন করা হচ্ছে। তবে শুধু সরকার নয় বেসরকারিভাবেও সমন্বিত উদ্যোগে পর্যটন শিল্প বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ৯ বছরের প্রায় ৯টা দেশের ১১টি গন্তব্যে আমরা ফ্লাইট অপারেশন করছি। এই চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলার অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। আমরা মাস্কাট, দোহা, দুবাই ও শারজাতে ফ্লাইট অপারেশন করছি। ইনশাআল্লাহ সহসাই আমরা আবুধাবি ও দাম্মামে ফ্লাইট অপারেট করতে কাজ করছি। চট্টগ্রাম আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। আমরা এটি ধরে রাখতে চাই। ইউসএস বাংলা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ৯ থেকে ১০টি ফ্লাইট অপারেট করছি। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের ইউএস বাংলার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘এ মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য আমাদের স্পেশাল কিছু অফার রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে প্রত্যেক গন্তব্যে আমরা ১৫ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ১০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করছি।’
বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশের ট্যুরিজম ক্যাপিটাল হলো চট্টগ্রাম। কিন্তু এটা সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। তখন বিদেশিরা বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী হবে।
মেলায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের অঞ্জন শেখর দাশ, টুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সুপার হাসান ইকবাল প্রমুখ।
জানা গেছে, মেলায় দেশ-বিদেশের ২৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে তাদের স্টল সাজিয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার অ্যাস্ট্রা, গোন্ডস্যান্ডস হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস, ডেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, আরশিনগর ফিউচার পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট, প্রবাসী পল্লী গ্রুপ, কসমস হলিডে, ইউর ট্রাভেল লিমিটেড, ট্যুর ইস্ট ভ্যাকেশন্স, ওয়ার্ল্ড ফেমাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, বেঙ্গল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড, হ্যাভেন ট্যুরস অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, ট্রাভেল বিজনেস পোর্টাল, ফিনলে ট্রাভেলস, হেলথ ট্রিপ বাংলাদেশ লিমিটেড ট্রাবিল, এইচ বি এভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার, ফার্স্ট ট্রিপ, ট্রিপলাভার, ট্রাভেল চ্যাম্প, দি ইমিগ্রেশন সার্ভিস, ভারতের লোকমানিয়া হাসপাতাল, ব্যাংকক হসপিটাল বাংলাদেশ অফিস এবং বামরুনগ্রাদ হসপিটাল বাংলাদেশ অফিসসহ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ইমিগ্রেশন কোম্পানিসহ ভ্রমণ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন র্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়েছে। এতে পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি গন্তব্যে রিটার্ন এয়ার টিকিট, হোটেল ও রিসোর্টে থাকার সুযোগ।
মিজানুর রহমান/ওএফ