জেট ফুয়েলের দাম বেড়ে ১৩০ টাকা
দেশে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে। ১২৫ টাকা থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটারের দাম ১৩০ টাকা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি। প্রায় ২ বছরের ব্যবধানে ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৮৫ টাকা।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয় বিপিসি। একইদিন থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন দাম।
বিপিসি জানায়, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় তেলের দাম কমেছে। নতুন আদেশ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার তেল কিনতে হবে ১ মার্কিন ডলারে, যা আগে ১ দশমিক ০৯ মার্কিন ডলার ছিল।
এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারিত ছিল ৪৬ টাকা। ২০২১ সালে কয়েক দফা বাড়িয়ে তা ৭৭ টাকা করা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় কমানো হলেও পরে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে সর্বশেষ ১২৫ টাকায় ঠেকে।
একইভাবে আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ৫০ সেন্ট (০.৫ ডলার)। প্রায় ১৫ মাসের মধ্যেই এটি দ্বিগুণ হয়ে ১.০৯ তে গিয়ে ঠেকে। তবে এবার তা কমানো হয়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি এয়ারলাইন্সের ৪০ শতাংশ পরিচালন ব্যয় হয় জেট ফুয়েলে। জেট ফুয়েলের দাম যত বেশি, ব্যয় তত বাড়ে। যেসব দেশ কম দামে তেল কিনছে, তাদের পরিচালন ব্যয় কম হচ্ছে, যাত্রীদের জন্য তারা কমদামে টিকিট দিচ্ছে। আর বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত দামের প্রভাবে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব দিন দিন কমতে থাকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বাজারের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো। এমনকি রিজেন্ট, জিএমজি এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনেও নিজেদের অতিরিক্ত পরিচালন ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেছে।
এআর/জেডএস