‘দুই বিমানের সংঘর্ষ কেন’, এবার তদন্তে বিমান মন্ত্রণালয়
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই এয়ারক্রাফটের ডানায় সংঘর্ষ হওয়ার ঘটনায় পৃথক কমিটি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে ৪ সদস্যের এই কমিটি করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) মো. মহিদুল ইসলামকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে আরও আছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বিমান ও সিএ) মো. নজরুল ইসলাম সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (এয়ারওয়ার্দিনেস স্ট্যান্ডার্ড) আব্দুল কাদের, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন : দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় বিমানের ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত
গত রোববার (৩ জুলাই) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার এলাকায় বিমানের বোয়িং-৭৮৭ এবং বোয়িং-৭৩৭ এর ডানার সংঘর্ষ লাগে।
এবিষয়ে সেদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, সিঙ্গাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি এয়ারক্রাফট যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। এয়ারক্রাফটের আর কোনো ফ্লাইট না থাকায় এটি হ্যাঙ্গারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে হ্যাঙ্গারের পাশে নিয়ে যাওয়ার সময় বোয়িং-৭৩৭ এর বাম দিকের উইংয়ের সঙ্গে বোয়িং-৭৮৭ মডেলের এয়ারক্রাফটটির ডান দিকের উইংয়ে আঘাত লাগে। এতে বোয়িং-৭৩৭ এর বাম দিকের উইংয়ের লাইটের ওপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বোয়িং-৭৮৭ এর ডান উইংয়ের নিচের অংশে আঁচড় লাগে। এতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কাজ করছে।
এর আগে গত ১৬ জুন শাহজালালে দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার। বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই বিমানটি পুশব্যাক শুরু করে। এতে বিমানের ড্রিমলাইনারের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তার আগে গত এপ্রিলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা লেগে দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন বিমান জানায়, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে আগে থেকেই বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখা ছিল। পরে আরেকটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হ্যাঙ্গারের দিকে নেওয়া হয়। হ্যাঙ্গারের ভেতরে প্রবেশ করানোর সময় ৭৩৭ উড়োজাহাজের সামনের অংশের সঙ্গে ভেতরে থাকা ৭৭৭ উড়োজাহাজের পেছনে অংশের ধাক্কা লাগে। এতে একটি ৭৩৭ উড়োজাহাজের সামনের অংশ (নোজ) এবং ৭৭৭ উড়োজাহাজের পেছনের অংশ (টেইল) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওই ঘটনায় বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ কর্মকর্তারা হলেন বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।
এআর/জেডএস