আফ্রিকা মহাদেশের অভিজাত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম লিবিয়া। লিবিয়ায় রয়েছে মিউজিয়াম, ক্যাথেড্রাল, গ্রিক-রোমান স্থাপত্য এবং বাজারসহ অনেক দর্শনীয় স্থান। আজ আপনাদের জানাবো লিবিয়ায় যে ৫টি স্থানে পর্যটকরা বেশি ভ্রমণ করে থাকেন সেই স্থানগুলো সম্পর্কে- 

১. ত্রিপোলি

আরব বসন্তের সময় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে লিবিয়ার ত্রিপোলি শহর পোস্টারে ছেয়ে যায়। এই শহর ঐতিহাসিক স্থাপনায় পরিপূর্ণ। লিবিয়ার রাজধানী হিসেবে শহরটি পরিচিত। বিশ্বের সব প্রান্তের সব বয়সের মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করেন। 

২. লেপ্টিস মাগনা

লেপ্টিস মাগনা শহরে প্রথম শতাব্দিতে ফিনিশীয় গ্রিকদের দ্বারা বসতি গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে রোমানদের দ্বারা এই শহর শাসিত হয়। এই শহরে অসংখ্য মিউজিয়াম ও পার্ক রয়েছে। 

৩. বেনঘাজি

বেনঘাজি শহর বস্তুত একটি বন্দর। ২০১১ ও ২০১২ সালের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি ক্যামপেইনে বলা হয়, বন্দরটি সমগ্র উত্তর আফ্রিকার মধ্যে প্রধান বন্দর হিসেবে কাজ করে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়দান আল শাজারা স্কয়ার রয়েছে। 

৪. সিরিন

সিরিন শহরে প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রয়েছে অনেক প্রাচীন ভবনও। পূর্ব লিবিয়ায় এই শহর অবস্থিত। হেলেন প্রজাতন্ত্র, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এবং রোমানদের দ্বারা এই শহর শাসিত হয়েছে। 

৫. ঘাদামিস

জাতিসংঘের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত শহর ঘাদামিস। শহরটি লিবিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আরেকটি মরুর শহর। আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী শহরটি মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়। 

৬. ঘাট

ইতিহাসসমৃদ্ধ ফেজান অঞ্চলে রয়েছে ঘাট শহর। শহরটি লিবিয়ার কেন্দ্রে রয়েছে। ঘাট শহরে রয়েছে গারামানশিয়ান সাম্রাজ্যের সময়ে নির্মিত একটি দুর্গ। দুর্গটি দেখার জন্য মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করেন। 

৭. সাব্রাথা

উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে এক সময়ের গ্রিস কলোনীর অন্তর্ভুক্ত সাব্রাথা শহরে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে অনেকগুলো মন্দির। ইতিহাসসচেতন মানুষকে এই শহরে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা যায়। 

৮. সির্তে

লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্তে শহর। ২০১১ সালে এই শহরে বিদ্রোহীদের হাতে তিনি নিহত হন। লিবিয়ার উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঘটনার জন্য এই শহর বিখ্যাত।

এইচএকে/এএ