ঘুরে আসুন কসোভো: সেরা ৫ জায়গা
ইউরোপের বলকান দেশ কসোভো। এই দেশের রয়েছে নিজস্ব মুদ্রাব্যবস্থা এবং রয়েছে পাসপোর্টের নিজস্ব নিয়ম। দেশটি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা। আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো কসোভোর সেরা ৫ জায়গা।
১. প্রিস্টিনা
বিজ্ঞাপন
কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনায় রয়েছে অসংখ্য কফিশপ, পিকনিক স্পট এবং বার। এসব কফিশপে জম্পেশ আড্ডা দেয়া যায় বন্ধুদের সঙ্গে, পিকনিক স্পটগুলোতে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো যায়। এই শহর কসোভোর সবচেয়ে পুরনো শহর। বিশ্বের মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করে।
২. প্রিজরেন
মনোহরী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শহর প্রিজরেন। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে প্রিস্টিনার পরে এই শহরের অবস্থান। এই শহরে রয়েছে কালাজা নামে দুর্গ। এই দুর্গ থেকে দর্শনার্থীরা সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করে থাকে। এছাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সিনান পাশা মসজিদ। মানুষ এই শহরে বারবার ভ্রমণ করে থাকেন।
৩. পেজা
প্রিজরেন শহরের পরে পেজার শহরের অবস্থান। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা অঞ্চল পেজা। পাহাড়প্রেমী পর্যটকরা এখানে এসে থাকেন। এই শহর বস্তুত একটি উপত্যকা। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই শহর মানুষের কাছে পরিচিত।
৪. ভিসোকি ডেকানি আশ্রম
পেজা শহর থেকে আধা ঘণ্টার পথ ভিসোকি ডেকানি আশ্রম। চতুর্দশ শতকে এই আশ্রম নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে কসোভো যুদ্ধের সময় এই আশ্রম ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। ২০০৪ সালে আশ্রমটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৫. গ্রাসানিকা আশ্রম
গ্রাসানিকা আশ্রম ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত একটি দর্শনীয় জায়গা। চতুর্দশ শতকে এই আশ্রম নির্মাণ করা হয়। ইতিহাসপ্রেমী দর্শনার্থীরা এখানে ভ্রমণ করে থাকেন। এই আশ্রম ষোড়শ শতকে ধ্বংস হয়ে যায়।
এইচএকে/এএ