ঘুরে আসুন মন্টিনিগ্রো: সেরা ১০ জায়গা
২০০৬ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করা মন্টিনিগ্রোতে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান আছে। দর্শনার্থীরা এসব স্থানে ভ্রমণ করে আনন্দ লাভ করে থাকেন। মন্টিনিগ্রো পর্যটনসমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে মানুষের কাছে অনেক পছন্দের। আজ আপনাদের জানাবো মন্টিনিগ্রোর সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
১. উলকিঞ্জ
বিজ্ঞাপন
আলবেনিয়া সীমান্তের কাছে মন্টিনিগ্রোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রাচীন সমুদ্রবন্দর উলকিঞ্জ। এক সময় এই বন্দরের নাম ছিলো অদ্রিয়াটিক সমুদ্রবন্দর। বর্তমানে এই শহরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রবিলাসী মানুষ সমুদ্রমন্থনের অভিজ্ঞতা লাভ করে জীবনকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
২. বায়োগ্রাডস্কা গোরা ন্যাশনাল পার্ক
মন্টিনিগ্রোতে অবস্থিত বায়োগ্রাডস্কা গোরা ন্যাশনাল পার্ক দর্শনার্থীদের কাছে অনেক পছন্দের জায়গা। এই পার্কে রয়েছে স্বচ্ছ পানির হ্রদ। এটি মন্টিনিগ্রোর সবচেয়ে ছোট ন্যাশনাল পার্ক। এই পার্কে বৈচিত্র্যময় গাছ রয়েছে যেগুলোর অধিকাংশ ৫০০ বছরের পুরনো। বায়োগ্রাড হ্রদে এসে অনেক পর্যটক বিমোহিত হন।
৩. স্বেতি স্টিফান
স্বেতি স্টিফান একটি দ্বীপ। পঞ্চদশ শতাব্দিতে এই দ্বীপে বসতি গড়ে ওঠে। ১৯৫০ সালে এর ছোট ছোট গ্রামের জাতীয়করণ করা হয়। এই দ্বীপে রয়েছে অত্যন্ত বিলাসবহুল হোটেল ও রিসোর্ট। পর্যটকরা মন্টিনিগ্রো ভ্রমণে এলে এই দ্বীপ অবশ্যই ভ্রমণ করে থাকেন।
৪. মাউন্ট লভকেন
মাউন্ট লভকেন পাহাড় নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ একটি জায়গা। পাহাড়প্রেমীরা এই স্থানে না এসে থাকতে পারবেন না। মাউন্ট লভকেন পাহাড়ে প্রতি বছর পর্যটকের ভীড় দেখা যায়।
৫. কেটিঞ্জি
পঞ্চদশ শতকে কেটিঞ্জি শহর গড়ে ওঠে। তুরস্কের অটোমান সুলতানদের শাসনামলে উনবিংশ শতকের শেষে ও বিংশ শতকের শুরুতে এই স্থান ছিলো কূটনীতির জায়গা। এখানে অটোমান সুলতানদের সময় অস্ত্রশস্ত্র রাখা হতো। এছাড়া এখানে কেটিঞ্জি আশ্রম দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
৬. অস্ট্রোগ আশ্রম
মন্টিনিগ্রোর সবচেয়ে অব্যবহৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং খ্রিস্টানদের আশ্রম অস্ট্রোগ আশ্রম। সপ্তদশ শতকে অটোমান সুলতানদের শাসনামলে এই আশ্রম তৈরি হয়।
৭. পেরাস্ট
পেরাস্ট মন্টিনিগ্রোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি ছোট একটি শহর। সেন্ট নিকোলা গীর্জা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থীদের কাছে বিখ্যাত। এটি মন্টিনিগ্রোর জনপ্রিয় শহর হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছে সম্যক পরিচিত।
৮. ডারমিটর ন্যাশনাল পার্ক
ডারমিটর ন্যাশনাল পার্ককে ভূস্বর্গ হিসেবে ধরা হয়। প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীদের কাছে প্রিয় জায়গা এটি। এখানে রয়েছে ১৮টি স্বচ্ছ পানির হ্রদ এবং তারা নদী। এটি দেশটির দ্বিতীয় গভীর পানির নদী হিসেবে পরিচিত।
৯. বুদভা
মন্টিনিগ্রোর উপকূলের কেন্দ্রে অবস্থিত বুদভা। এটি একটি পুরনো শহর। এখানে রয়েছে সমুদ্রসৈকত এবং নানাবিধ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এখানে ৩৫টি সমুদ্রসৈকত রয়েছে। রয়েছে ক্লাব, রেস্তোরাঁ ও বার। নিসর্গকে যারা ভালোবাসেন তারা নিসর্গের টানে বুদভা শহরে ছুটে আসেন।
১০. কটর
আদ্রিয়াটিক উপকূলে অবস্থিত কটর শহরটি দ্বাদশ শতকে সেন্ট ট্রাইপুন ক্যাথেড্রাল দ্বারা শাসিত হয়েছে। ইতিহাসসচেতন পর্যটক সবসময় এই শহরে ভ্রমণ করে থাকেন।
এইচএকে/এএ