বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ইউরোপের আভিজাত্যে পরিপূর্ণ ও ইতিহাসসমৃদ্ধ একটি দেশ। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার রাজধানী সারাজেভো প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফ্রাঞ্জ ফার্ডিনান্দ ও তার স্ত্রী সোফিয়া হোয়াইটের আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার জন্য বিখ্যাত। বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এর মধ্য থেকে সেরা ৭ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বলা হলো। 

১. মোস্টার ব্রিজ

ষোড়শ শতাব্দিতে নেরেতভা নদীর ওপর নির্মিত হয় মোস্টার ব্রিজ। ৪২৭ বছরের ইতিহাস রয়েছে এই ব্রিজের। ১৯৯৩ সালের ৯ নভেম্বর বসনিয়ার যুদ্ধের সময় মোস্টার ব্রিজের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিলো। যুদ্ধে এই ব্রিজ ২০০৪ সালে পুননির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজ দেখার জন্য পর্যটকরা সব সময় আসেন। 

২. লাতিন ব্রিজ

কাঠ দিয়ে লাতিন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিলো ১৫৪১ সালে। কাঠের এই ব্রিজ পরবর্তীতে বন্যার কারণে ভেঙে যায়। বর্তমানে যে ব্রিজ দেখা যায় তা ১৭৯৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই ব্রিজেই অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফ্রাঞ্জ ফার্ডিনান্দ ও তার স্ত্রী সোফিয়া হোয়াইট নিহত হন। 

৩. বাস্কারসিজা

বাস্কারসিজা শহরকে বলা হয় তুরস্কের প্রাচীন শহর। এই শহর ষোড়শ শতাব্দিতে তুরস্কের অটোমান সুলতানদের দ্বারা গড়ে ওঠে। বাস্কারসিজা শহরে রয়েছে ছোট ছোট রাস্তা এবং অলিগলির পথ। 

৪. মোস্টার পুরনো শহর

নারিতভা নদীর পাদদেশে অবস্থিত মোস্টার শহর প্রকৃতপক্ষে একটি উপত্যকা। এই শহর ১৪৪২ সালে গড়ে ওঠে। এই শহরে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ৬ শতাধিক সৈন্যের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে। 

৫. গাজী হাসরেভ বেগ মসজিদ

গাজী হাসরেভ বেগ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিলো ১৫৩১ সালে। অটোমান স্থাপত্যে নির্মিত এটি। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই মসজিদ ছিলো হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। ১৯৯৬ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মসজিদটি পুনঃনির্মিত হয়। 

৬. পুরনো টাউনহল

অস্ট্রো-হাঙ্গেরী সাম্রাজ্যের সময় ইসলামি ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরী স্থাপত্যে নির্মিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এটিকে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রূপান্তর করা হয়। ১৯৯২ সালের ২৫ আগস্ট বসনিয়ার যুদ্ধে লাইব্রেরির বেশিরভাগ বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

৭. হলুদ দুর্গ

বসনিয়া-হার্জেগোভিনার অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা হলুদ দুর্গ। এই দুর্গ ১৭২৯ সালে নির্মাণ করা হয়। দুর্গটি ১৮৮৩ ও ১৯০৩ সালে দুবার পুনঃনির্মাণ করা হয়। এই দুর্গে একটি কফিশপ রয়েছে যা আড্ডার শব্দে মুখর হয়ে থাকে।

এইচএকে/এএ