অভিযাত্রীদের জন্য খুলল মাউন্ট এভারেস্ট, কাটছে না সংক্রমণের শঙ্কা
করোনার প্রথম ঢেউ শুরুর পর থেকেই অভিযাত্রীদের জন্য মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। তবে এপ্রিলে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। তারপরই বেস ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযাত্রীদের ফিরিয়ে আনা হয়।
তারপর বন্ধ হয়ে যায় অভিযান। ফের চলতি মাস থেকে নেপাল পর্যটন বোর্ড বিদেশিদের এভারেস্ট অঞ্চলে যাওয়া এবং ট্র্যাকিং করার অনুমতি দিতে শুরু করেছে। ভারতীয় ও দেশীয় অভিযাত্রীদেরও ছাড়পত্র দেওয়া শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা অক্টোবর থেকে ফের বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। নতুন করে করোনার চোখ রাঙানি ভয় ধরাচ্ছে। এ অবস্থায় এভারেস্ট ভ্রমণের অনুমতি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অভিযাত্রী সংগঠনগুলোর মধ্যে।
এভারেস্ট যাত্রার দুই মৌসুম
সাধারণত এভারেস্ট অভিযানের দুটি মৌসুম। সামার এবং অটাম। অর্থাৎ অক্টোবরে। এ বার সামারে করোনার দাপট থাকায় খোলা যায়নি। তাই পাকাপাকি শরত আসার আগেই ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েই খানিকটা উদ্বেগে অভিযাত্রী ক্লাবগুলো।
অভিযান নিয়ে আশঙ্কা
জানা গেছে চীনের দিক দিয়ে অভিযানের রুটটি এখনও বন্ধই রাখা হয়েছে। তবে নেপাল রুট চালু করা হচ্ছে। কিন্তু কয়েক মাস আগে বেসক্যাম্প এবং ক্যাম্প নং-১ এর পরিস্থিতি ভালো ছিল না। ফলে অভিযান নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছে নেপাল ও দার্জিলিংয়েও। কারণ অভিযাত্রীদের অধিকাংশই দার্জিলিং ও নেপালের বাসিন্দা। পাশাপাশি এবার টানা বর্ষা চলায় শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
করোনায় থমকে যায় অভিযান
নেপাল পর্যটন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর এপ্রিল-মে মাসে চার শতাধিক অভিযাত্রীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনায় পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে সব বাতিল করতে হয়। অনেকে মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন। করোনা রিপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ নেপালকে
ট্র্যাকিংয়ের অনুমতি, ট্র্যাকিংয়ে সহায়তা এবং ট্র্যাকিংয়ে সংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা আয় করে নেপাল। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক অবস্থা সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন।
এভারেস্টের তথ্য
মাউন্ট এভারেস্ট নেপালে সগরমাথা এবং তিব্বতে চোমোলাংমা নামে পরিচিত। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফুট) হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দূরত্ব সর্বাধিক নয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪৮ মিটার। যা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি চীনা জরিপে নিশ্চিত করা হয়।
এসকেডি