উত্তর ইউরোপে অবস্থিত এস্তোনিয়া পর্যটনসমৃদ্ধ অন্যতম বাল্টিক দেশ। দেশটিতে বহু পর্যটন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পর্যটকদের কাছে এই দেশ খুব পছন্দের। এস্তোনিয়ায় রয়েছে সুরক্ষিত দুর্গ, ন্যাশনাল পার্ক এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনা রয়েছে। আজ আপনাদের বলবো এস্তোনিয়ার সেরা ৬ জায়গা সম্পর্কে। আসুন জানা যাক- 

১. ভিলজান্ডি

এস্তোনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ছোট একটি শহর ভিলজান্ডি। ২৬০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে এই শহরের। বহু ঐতিহাসিক স্থাপনা এই শহরকে সমৃদ্ধ করেছে। ভিলজান্ডি দুর্গ এই শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। এই শহরের পথে পথে ছোট ছোট গানের আসর বসে। 

২. সোমা ন্যাশনাল পার্ক

মানুষের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত নাম সোমা ন্যাশনাল পার্ক। মনোরম শোভমণ্ডিত জায়গা হলো সোমা ন্যাশনাল পার্ক। ফুলে ফুলে সুশোভিত এই পার্ক। পর্যটকরা এখানে এসে বিমোহিত হন। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীও দেখতে পাওয়া যায়। 

৩. রাকভেরে দুর্গ

এস্তোনিয়ার উত্তরাঞ্চলে রয়েছে রাকভেরে দুর্গ। দুর্গটি ১৫০০ বছরের প্রাচীন। এই শহরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এই দুর্গ। এই কারণে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এই দুর্গ। দুর্গটি ষোড়শ শতাব্দিতে নির্মিত হয়। 

৪. হিউম্যা

বাল্টিক সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম হিউম্যা। এখানকার অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন হলো কপু। এটি পঞ্চদশ শতাব্দিতে নির্মিত হয়। দৃষ্টিনন্দন দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ণ হিউম্যা দ্বীপ পর্যটকদের কাছে খুব ভালোবাসার জায়গা। 

৫. নার্ভা দুর্গ

এস্তোনিয়ার উল্লেখযোগ্য একটি জায়গা নার্ভা দুর্গ। আগ্রহী দর্শনার্থীরা নার্ভা দুর্গের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হন। এই দুর্গকে হারমান দুর্গও বলা হয়। দুর্গটি ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত হয়। দুর্গ ছাড়া এখানে রয়েছে নার্ভা মিউজিয়াম। 

৬. পার্নু

পার্নুতে রয়েছে সমুদ্রসৈকত। আরও রয়েছে পার্নু নদী। এই শহরকে রিসোর্টের শহরও বলা হয়। গ্রীষ্মকালে এই শহরে দর্শনার্থীরা এসে থাকেন। দর্শনার্থীরা এই শহরকে খুব পছন্দ করে থাকেন।

এইচএকে/এএ