করোনার বর্তমান পরিস্থিতি আগামীতেও অব্যাহত থাকলে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) আওতাভুক্ত ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি ৯ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দেশের পর্যটন শিল্প ও ট্যুর অপারেটরদের টিকিয়ে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি উত্থাপন করেন টোয়াবের পরিচালক মোহাম্মদ সাহেদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের পর আভ্যন্তরীণ পর্যটনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় ছিল দেশের পর্যটন শিল্প। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাংলাদেশের পর্যটন খাত আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। গত বছর করোনার কারণে শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে। চলমান পরিস্থিতি ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত হলে ক্ষতির পরিমাণ ৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে দ্রুত উত্তরণে ও বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও টোয়াবের পক্ষ থেকে ট্যুর অপারেটরদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, টোয়াব সদস্যদের জন্য পরবর্তী বছরের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি মওকুফ করা, টোয়াব সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির মেম্বার মো. রাফেউজ্জামান বলেন, মহামারির কারণে পর্যটন খাতকে গত বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুণতে হয়েছে। এ শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকেই হতাশ হয়ে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আমার টোয়ারেব পক্ষ থেকে গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছি। যা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, ট্যুর পরিচালনা কার্যক্রম সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রকার ব্যাংক ঋণ পাইনি আমরা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। আমি মনে করি এই বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য খুবই কম।

এআর/এসকেডি