ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র জার্মানি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে খলনায়কের ভূমিকার জন্য দেশটিকে সবাই চিনে থাকেন। এই জার্মানিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১৯৮৯ সালের ৩ অক্টোবর বার্লিন দেয়াল ভাঙার আগ পর্যন্ত পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম জার্মানি এই দুই অংশে বিভক্ত ছিলো। জার্মানিতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এসব দর্শনীয় স্থানে সবসময় পর্যটকরা ভ্রমণ করে থাকেন।

জার্মানির সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক- 

১. রিগেনবার্গ

জার্মানিতে তিনটি নদী রয়েছে যেগুলো হলো দানুব, নাব ও রিগেন। রিগেন নদীটি বাভারিয়া শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। এটি জনপ্রিয় জায়গা। রোমান সাম্রাজ্যের সময় ১৭৯ খ্রিস্টাব্দে এই নদী খনন করা হয়েছিলো। এই নদীকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ হাজার বছরের ইতিহাস গড়ে উঠেছে। 

২. হামবার্গ

জার্মানির হামবার্গ ইউরোপের মধ্যে ব্যস্ততম বন্দর। এটি এলবে নদীর তীরে অবস্থিত। উত্তর সাগর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দরটি হানসিটিক লীগ শহরের একাংশে রয়েছে। বন্দরটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। 

৩. রুগেন দ্বীপ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার রুগেন দ্বীপে রয়েছে অসংখ্য রিসোর্ট। এসব রিসোর্টে দম্পতিদের বেশি দেখা যায়। দ্বীপটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া এখানে অনেক প্রাচীন শহর এবং সমুদ্রসৈকত রয়েছে। 

৪. লেক কনস্ট্যান্স

ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত লেকসমূহের মধ্যে লেক কনস্ট্যান্স তৃতীয় বৃহত্তম লেক। লেকটি জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত। এখানে তিনটি অংশ রয়েছে- একটি অংশ অবার্সি যা উঁচু স্তর, অপর অংশ উন্তার্সি যা নিম্নাংশ এবং ছোট একটি অংশের উৎপত্তি হয়েছে রাইন নদী থেকে। 

৫. বামবার্গ

বামবার্গ জার্মানির অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়, খাল এবং রেগনিটজ নদী। এখানকার স্থাপনাগুলো রোমান সাম্রাজ্যের সময়ের। বড় একটি সময় এই শহর রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো। 

৬. কলঙ্গে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলঙ্গে শহরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতিসাধন করা হলেও বর্তমানে শহরটি জার্মানি এবং ইউরোপের প্রধান প্রধান দেশের বড় শহরগুলোর অন্যতম। এখানেই রয়েছে রাইন নদী। এখানে একটি গীর্জা রয়েছে যার নাম কলঙ্গে ক্যাথেড্রাল। শহরটিতে পর্যটকদের আসার অন্যতম কারণ এই গীর্জা। 

৭. লিপজিং

জার্মানির বড় শহরগুলোর অন্যতম হলো লিপজিং। এই শহরেই ছিলো বার্লিন দেয়াল যা ১৯৮৯ সালে ভেঙে ফেলা হয়। শহরটিতে রয়েছে অসংখ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা। 

৮. ন্যুরেমবার্গ

ন্যুরেমবার্গকে রোমান সাম্রাজ্যের অঘোষিত রাজধানী বললে ভুল করা হবে না। এখানে জার্মানির অসংখ্য রাজার বাসস্থান ছিলো। বাভারিয়া অঙ্গরাজ্যে ন্যুরেমবার্গ দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এই শহর জার্মানির অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু। 

৯. ব্ল্যাক ফরেস্ট

ব্ল্যাক ফরেস্ট জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে পাহাড়-পর্বত এবং বিভিন্ন উপত্যকা রয়েছে। ব্ল্যাক ফরেস্ট পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় জায়গা। পাহাড়-পর্বত ছাড়াও এখানে রয়েছে নদী, হ্রদসহ আরও অনেক কিছু। এখানকার উষ্ণ আবহাওয়া প্রবাহিত হয়ে থাকে। 

১০. লুবেক

লুবেক অন্যতম বাল্টিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত। এটি জার্মানির উত্তরে অবস্থিত। লুবেক সমুদ্রবন্দর ১১৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বন্দরটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।

এইচএকে